ইফতার আরবী শব্দ। রমযান মাসে মুসলিমগণ সারাদিন রোযা রাখার পর সূর্যাস্তের সময় যে খাবার গ্রহণ করেন তাকে ইফতার বলে।
সাধারণত ইফতারের সময় মুসলমানগণ আল্লাহর কাছে দোয়া করে থাকে। আর এ সময় আল্লাহ বেশি বেশি দোয়া কবুল করেন।
রমজান মাসেই কুরআন মজিদ নাযিল করা হয়েছে। যা গোট মানব জাতির জন্য জীবন-যাপনের বিধান ও সুস্পষ্ট উপদেশাবলিতে পরিপূর্ণ।
এটি মানুষকে সঠিক ও সত্য পথ প্রদর্শন করে। এবং হক ও বাতিলের পার্থক্য পরিষ্কার করে তুলে ধরে।
হযরত আবু হুরায়রা রা. থেকে বর্ণিত । রাসূল সা. বলেছেন যে ব্যক্তি মিথ্যা কথা ও সে অনুযায়ী আমল পরিত্যাগ করতে পারলো না,
তবে এমন ব্যক্তির পানাহার পরিত্যাগ করা আল্লাহর কোন দরকার নেই। তাই দুনিয়ার কোন সুবিধার জন্য নয় বরং শুধু মাত্র আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্যই যে রোজা থাকা হয় এটি ইফতারের দোয়ার সময় প্রকাশ করা হয়।
ইফতারের শুরুতে দোয়া
রোযাদারের জন্য রোযা অবস্থায় ও ইফতারকালীন সময়ে দোয়া করা মুস্তাহাব।
নিচে ইফতার করার পূর্বে যে দোয়াটি পড়তে হয় তার আরবী, বাংলা উচ্চারণ ও অর্থসহ বর্ণনা করা হল-
اَللَّهُمَّ لَكَ صُمْتُ وَ عَلَى رِزْقِكَ وَ اَفْطَرْتُ
বাংলা উচ্চারণ:আল্লাহুম্মা লাকা ছুমতু ওয়া আ’লা রিজক্বিকা আফতারতু – আবূ দাঊদ ২৩৬০
বাংলা অর্থ:হে আল্লাহ! আমি তোমারই জন্যে রোজা রেখেছি এবং তোমারই দেয়া রিযিক দ্বারা ইফতার করছি।
হাদিসটি সুনানে আবু দাউদ গ্রন্থে মুয়ায বিন যাহরা থেকে বর্ণিত হয়েছে যে, তার কাছে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম থেকে পৌঁছেছে যে, যখন কেউ ইফতার করে তখন সে যেন বলে, আল্লাহুম্মা লাকা সুমতু, ওয়া আলা রিযকিকা আফতারতু” (অর্থ- হে আল্লাহ্, আমি আপনার জন্য রোযা রেখেছি। এবং আপনার দেয়া রিযিক দিয়ে ইফতার করছি।)
এছাড়াও প্রায় প্রত্যেকে ইফতারের সময় বিভিন্ন ফল মূল খায়। সে ক্ষেত্রে ফল-মূল খাওয়ার দোয়াটিও পড়তে পারে,
দোয়াটি হল, আল্লাহুম্মা বারিক লানা ফি আছমারেনা ওয়া বারিক লানা ফি ছায়িনা ওয়া বারিকলানা ফি মুদ্দিনা ওয়া বারিকলানা ফি মাদিনাতিনা।
অর্থ: হে আল্লাহ! আমাদের ফলমূলে বরকত দান কর। আমাদের পরিমাপের পাত্রসমূহে বরকত দান কর এবং আমাদের শহর জনপদের বরকত দান কর। সূত্র: (নাসায়ী শরিফ)
তবে আপনি আল্লাহ্র কাছে জান্নাত প্রার্থনা করতে পারেন। জাহান্নাম থেকে আশ্রয় প্রার্থনা করতে পারেন, ইসতিগফার করতে পারেন।
শরিয়ত অনুমোদিত যে কোন দোয়া করতে পারেন।
ইফতারের পর দোয়াবাংলা উচ্চারণ: জাহাবাজ-জামায়ূ ওয়াব-তাল্লাকিল উরুকু ওয়া ছাবাতাল আজরু ইনশাআল্লাহ।
অর্থ: পিপাসা মিটে গেছে এবং শিরাগুলো সিক্ত হয়েছে। আর আল্লাহর ইচ্ছায় সওয়াব প্রতিষ্ঠত হয়েছে। তথ্য সূত্র: হিসনে হাসীন
খাবার সামনে এলে যে দুআ পড়বেনযদিও ইফতারের আলাদা দুআ রয়েছে; তার পরও কেউ চাইলে খাবার সামনে এলে নিচের দোয়াটি পড়তে পারেন,
যদিও ইফতারের আলাদা দুআ রয়েছে; তার পরও কেউ চাইলে খাবার সামনে এলে নিচের দোয়াটি পড়তে পারেন,
الحمدلله الذى رزقنيه من غيرحول منى ولا قوةٍ
উচ্চারণ: আলহামদুল্লিহিল-লাজি রাজাকানিহি মিন গাইরি-হাওলিন মিন্নি ওয়ালা কুয়াতা।
অর্থ: সকল প্রশংসা আলাহর যিনি আমাকে আমার শক্তি সামর্থ্য ছাড়াই রিজিক দিয়েছেন। সূত্র: (তিরমিযী, আবুদাউদ, ইবনে মাজাহ)
ইফতারের সময়সাহল ইবনে সা’দ রা. থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, যতদিন লোকেরা তাড়াতাড়ি (সূর্য অস্ত যাওয়া মাত্র) ইফতার করবে, ততদিন পর্যন্ত কল্যাণ হতে বঞ্চিত হবে না।
-বোখারী শরিফ।
ইফতারে রাসূল সা. কী খেতেন?ইবনে আবু আওয়া রা. থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, কোন এক সফরে আমি নবী সা. এর সাথে ছিলাম। তিনি রোযা রেখেছিলেন। সন্ধ্যা হলে তিনি এক ব্যক্তিকে বললেন,
তুমি গিয়ে আমার জন্য ছাতু গুলে আন। সে বলল, আপনি সন্ধ্যা পর্যন্ত অপেক্ষা করুন। নবী সা. বললেন, তুমি গিয়ে আমার জন্য ছাতু গুলে আন। যখন দেখবে
রাতের অন্ধকার এদিক (পূর্বদিক) হতে ঘনিয়ে এসেছে তখন বুঝবে রোযাদারের ইফতারের সময় হয়ে গেছে। -বোখারী শরিফ।
ট্যাগ: আরাফাতের রোজার নিয়ত, ইফতার শেষের দোয়া, ইফতারের দোয়া ছবি, ইফতারের পূর্বের দোয়া, ইফতারের সময়, ইফতারের সময়সূচি ২০২৩, কাযা রোজা রাখার নিয়ম, জিলহজ্ব মাসের রোজার নিয়ত, তারাবির নামাজের দোয়া, নফল রোজা রাখার নিয়ম, নফল রোযার নিয়ত, মানত রোজার নিয়ত, রমজানের ইতিহাস, রমজানের নিয়ত, রমজানের রোজা ফরজ হয় কত হিজরীতে, রোজার নিয়ত করতে ভুলে গেলে, রোজার নিয়ম, রোজার ফজিলত হাদীস, রোজার ফরজ কয়টি, শবে মেরাজের রোজার নিয়ত, সাওম কত প্রকার, সাওমের গুরুত্ব, সেহেরী